প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢাকার ১০০ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠান-প্রধান ও শিক্ষকগন

10 August, 2017


তোমরা কি জানো, গত ৮ আগস্ট, ২০১৭ তারিখে ঢাকার ১০০ টি বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে? হ্যা, প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে সে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠান প্রধান (অর্থাৎ অধ্যক্ষ অথবা প্রধান শিক্ষক) এবং একজন করে শিক্ষক এসেছিলেন।এই বিদ্যালয়গুলোর মাঝে ছিলো অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজ, আজিমপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, হলি ক্রস বালিকা স্কুল ও কলেজ, সেন্ট জোসেফ উচ্চ বিদ্যালয়, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, মোহাম্মদপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, মিরপুর বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়, মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়, মতিঝিল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, বি এ এফ শাহিন কলেজ, ক্যাম্ব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ আরও অনেক অনেক বিদ্যালয়। এবং তারা এসেছেলেন কিন্তু তোমাদের জন্যই! বাংলাদেশের আইসিটি শিক্ষাকে কীভাবে আরও সমৃদ্ধ করা যায়, তোমাদের জন্য কীভাবে আইসিটি শিক্ষাকে আরও সহজ ও যুগোপযোগী করা যায় তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি মত বিনিময় সভা আয়োজন করা হয়।এই অনুষ্ঠানে সম্মানিত অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক মহোদয় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম মিয়া (পরিচালক, মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন উইং, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর), জনাব গৌর চন্দ্র মন্ডল (আঞ্চলিক উপ-পরিচালক, ঢাকা বিভাগ), জনাবা রায়হানা তাসলিম (উপ-প্রকল্প পরিচালক, টিকিউআই-২ প্রোগ্রাম) এবং প্রফেসর ফারুক আহমেদ (ই-লার্নিং স্পেশালিস্ট, এটুআই-II প্রোগ্রাম)।এই অনুষ্ঠানটির অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো কিশোর বাতায়নের সাথে তোমাদের শিক্ষকদেরও পরিচয় করিয়ে দেয়া ও তাদের মতামত নেয়া। তোমাদের জন্য এই কিশোর বাতায়নকে কীভাবে আরও সমৃদ্ধ করা যায় তা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে শিক্ষকগন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাদের মাঝে, যারা কিশোর বাতায়ন নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তোমরা জেনে খুশি হবে যে শিক্ষকগন কিশোর বাতায়নের অনেক প্রশংসা করেছেন। তারা এই বিষয়ে একমত হয়েছেন যে এখানে তোমরা সুস্থ বিনোদনের পাশাপাশি অনেক কিছু শিখবে এবং তোমাদের সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে। তোমাদের শিক্ষকেরা সব সময়ই তোমাদের জন্য সবচেয়ে ভালো জিনিসটাই প্রত্যাশা করেন। তাই তারা আমাদের অনেক পরামর্শ দিয়েছেন কিভাবে তোমাদের জন্য আরও ভালোভাবে কাজ করা যায়। অনুষ্ঠানের শেষে তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তাদের নিজেদের বিদ্যালয়ে বয়স উপযোগী সকল শিক্ষার্থীদেরকে বাতায়নের সদস্যকরণে সার্বিক সহায়তা প্রদান করবেন। এছাড়া তোমরা তো জানোই খুব শীঘ্রয়ই কিশোর বাতায়নের আয়োজনে দেশব্যাপী প্রতিযোগিতা “আমার জেলা, আমার অহংকার” অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই প্রতিযোগিতাতেও নিজেদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন শিক্ষকগন।


মন্তব্য লিখতে লগইন অথবা রেজিস্ট্রেশন কর