আসুন সড়কে সচেতন থাকি

12 December, 2018

মোবাইন কানে রাস্তা পারাপার -ছবি: সংগৃহীত



সড়কের উন্নতি আর যানবাহনের ব্যাপকতা আমাদের জীবনে গতি এনেছে,এটা সত্য। কিন্তু,সামান্য একটু অসচেতনতা আমাদের জীবনের এই গতিকে চিরতরে থামিয়ে দিতে পারে! প্রায়ই পত্রিকায় দেখি,চালকের ঘুমের কারনে বা অবহেলার কারনে দূর্ঘটনা ঘটে! ফলাফল? একজনের ভুলে অন্যদের জীবন দিতে হয়,তাহলে চালকদের পেশাদারিত্ব কোথায়? আমি জানি সবায় এমন না,অনেকেই আছেন যারা দায়িত্ববান। তবে তাদের সংখ্যাটা যে কম,সেটাও আমি জানি। দেশে ‘সড়ক পরিবহন আইন’ আছে,তবে সেটা না মানার প্রবনতাও সর্বোচ্চ। আজ নিউ মার্কেটে দেখলাম,ট্রাফিক সার্জন এক মোটরসাইকেল আরোহীকে (মাথায় হেলমেট নেই) থামতে বলছে,কিন্তু সে না থেমেই চলে গেলো! আবার,আরেকজন আরোহীকে দেখলাম যিনি তার লাইসেন্স দেখাতে না পেরে কাকে যেনো ফোন কল করলেন... সাথে সাথেই প্রতিক্রিয়া! পুলিশও এখানে অসহায়! জনবহুল রাস্তায় স্পীডে বাইক চালানোটা এখন ফ্যাশন! এরা মরলে সমস্যা নেই,সমস্যাটা তখনই হয় যখন এদের কারনে অন্যদের মরতে হয়। একটা দেশের উন্নতি অনেকাংশে সে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে। আমাদের দেশে নতুন নতুন সড়ক হচ্ছে। চলাচলের অনুপযোগী সড়কের সংস্কারও হচ্ছে। তবে আমাদের মানসিকতার সংস্কার কতটুকু হচ্ছে? যেখানে সেখানে গাড়ি প্যার্কিং করি আমরা,এটা আমাদের অধিকার! গাড়ি চালাতে চালাতে মোবাইল ফোনের ব্যবহার আমাদের স্মাটনেস বাড়িয়ে দেয়! গাড়িতে সিট বেল্ট পরতে বলা হলেও আমি খুব কমই এটা মানতে দেখেছি! গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নিরাপত্তার জন্য গতিরোধক দেয়া হয়। তবে,সামনে যে গতিরোধক আছে এটা অনেক সময় বোঝাও যায়না। আজ সকালে যখন যশোর আসছিলাম,তখন এমনই একটা গতি রোধকের কারনে সিট থেকে আমি এতটা উপরে উঠে গিয়েছিলাম যে আমার মাথা বাসের সিলিং স্পর্শ করেছিলো। আমি না হয় নিজেকে সামলে নিয়েছিলাম, তবে বাসে অনেকেই ছিল যারা রীতিমতো আহত হয়েছিল। আমার মনে হয়,দূরপাল্লার বাসগুলোতেও সিট বেল্টের ব্যবস্থা রাখা উচিত। আমাদের সকলেরই উচিত আইন মেনে চলা,রাস্তায় চলাচলে আরো সচেতন হওয়া। একটি দূর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না! © Shakil Hosen


মন্তব্য লিখতে লগইন অথবা রেজিস্ট্রেশন কর