জাতীয় সংগীতের ইতিহাস

06 February, 2019


আমার সোনার বাংলা গানটি ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীন রাষত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গিত। এ গানের রচয়িতা ও সুরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এই গানটি রচিত হয়েছিল। ১৩/০১/১৯৭২ তারিখে মন্ত্রিসভার ১ম বৈঠকে এ গানটির ১ম ১০ লাইন সদ্য গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে নির্বাচিত হয়।

জাতীয় সঙ্গীতের ইতিহাসঃ

 আমার সোনার বাংলা গানটি রচিত হয়েছিল ১৯০৫ সালের  বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে। কিন্তু এর পাণ্ডলিপি না ্পাওয়া যাওয়ায় এর রচনা কাল জানা যায় নি। সত্যেন রায়ের রচনা থেকে জানতে পারি যে, ১৯০৫ সালের ৭ই আগস্ট কলকাতার টাউন হলে একটি প্রতিবাদ সভায় এই গানটির প্রথম গীত হয়েছিল। গানটি একই বছর ৭ই সেপ্টেম্বর (১৩১২ বঙ্গাব্দের ২২ ভাদ্র) সঞ্জবণী পত্রিকায় রবিন্দ্রনাথের স্বাক্ষরে গানটি মুদ্রিত হয়।

যেভাবে বাংলাদেশের জাতিয় সঙ্গীতঃ

১৯৭১ সালের ১ মার্চ গঠিত হয় স্বাধীন বাংলার কেন্দ্রীয় সংগ্রাম পরিষদ। ৩ মার্চ তারিখে ঢাকা শহরে কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত পল্টন ময়দানে জনসভা শেষে ঘোষিত ইশতেহারে এই গানকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের শপথ অনুষ্ঠানে এই গান প্রথম জাতীয় হিসাবে গাওয়া হয়।

বিশ্ব রেকর্ডঃ ২০১৪ সালের ২৬শে মার্চ, জাতীয় প্যারেড ময়দানে একসঙ্গে গাওয়ার মাধ্যমে বিশ্ব রেকর্ড করে।

বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলা ভাষী জনগণ এই গানটি গেয়ে থাকে। বাংলাদেশেও বিভিন্ন স্কুল কলেজে মাঠে পি টি র সময়ে এই গানটি গাওয়া হয়। জাতীয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় এই গানের অনুশিলন করা হয়। সবাই একসঙ্গে গেয়ে ওঠে, "আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি ...''।


মন্তব্য লিখতে লগইন অথবা রেজিস্ট্রেশন কর