None

22 October, 2017


মাঝে মাঝে মনে হয় শহর তা খুব অচেনা, আবার মাঝে মাঝে শহরের বাইরে গেলে মনে হয়," হায়রে! আমি কোথায় এসে গেলাম?" এইতো আজ জামালপুর থেকে ফিরলাম। কাকতালীয় ভাবে কিংবা হয়তো সৌভাগ্যবসত সঙ্গী হিসেবে পেয়ে গেলাম এক মহিলা তাঁতিকে । । কোলে দু'এক বছরের একটা বাচ্চা। যদিও শুরু তে আমি জানতাম না তিনি এক জন তাঁতি । তাঁতি রা তো আর সাইনবোর্ডে লিখে রাখে না " আমি তাঁতি " বা নিজেদের হাতে বানানো তাঁতের শাড়ী পড়েও থাকে না। তারা থাকে সাধারণ ভাবে। খুবই সাধারণ তাদের জীবন। কিন্তু হাতের কারুকাজ ঠিকই কিন্তু অসাধারণ। তিনি ব্যাগে করে বেশ কয়েক্তা তাঁতের শাড়ী নিয়ে টাঙ্গাইল শহরের দিকে আসছিলেন। একদমই একা ।সাথে ছিল তার ছোটো এক্তা বাচ্চা ।কিন্তু আমার কাছে কেনো জানি ব্যাপার তা স্বাভাবিকই লাগলো... এক্তা কম বয়সী মহিলা তার সন্তান কে নিয়ে শহরে আসবে,এসে ফুটপাতে তার তাঁতের শাড়ীর এক্টা দোকান দেবে, অপেক্ষা করবে ক্রেতার আশায় ,... একা একজন মহিলা। মাঝে মাঝে আমার এটাও মনে হয়, তাঁতের শাড়ী শুধু আমাদের টাঙ্গাইল কেই সমৃদ়ধ করছে না, বরংচো তার পাশাপাশি সমৃদ়ধ করে তুলছে আমাদের বর্তমান সমাজটাকে, , , যেখানে নারী-পুরুষ তাল মিলিয়ে কাজ করতে পারে.........


মন্তব্য লিখতে লগইন অথবা রেজিস্ট্রেশন কর