কৈশোরে পুষ্টিঃ সবই খাবো?
কৈশোরে পুষ্টিঃ খাবো খাবো সবই খাবো?
কৈশোরকাল জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ, বয়ঃসন্ধিকাল একটি দ্রুত শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির সময়কাল, যে সময়ে শারীরিক বৃদ্ধি ও মনস্তাত্বিক ক্ষমতার বিকাশের মাধ্যমে সামগ্রিক জীবনের সুস্থতা নিশ্চিত হয়। এ সময় তাদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে, তাই পুষ্টি চাহিদা ও বৃদ্ধি পায়। অপুষ্টির দুষ্টচক্র ভেঙে ফেলতে কৈশোরকালীন সময়ে পুষ্টি নিশ্চিত করা অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ, একজন পুষ্ট মা-ই পারে একটি সঠিক ওজনের সুস্থ শিশু জন্ম দিতে। একইসাথে তাদেরকে নিরাপদ ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য সম্পর্কে সচেতন করে গড়ে তোলা একান্ত জরুরি। এসময় সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে চাই সুষম খাবার।
কৈশোর কালীন পুষ্টি নিশ্চিত করা কেন জরুরী?
- একজন নারী বা পুরুষের মোট উচ্চতার ১৫-২০% এবং মোট ওজনের ২৫-৫০% এই সময়ে হয়।
- প্রায় ৪৫% শরীরের কাঠামো (মাংশপেশী) এই সময়ে গঠন হয়।
- জন্ম থেকে কৈশোরকালের মধ্যে, শরীরের হাড়ের গঠনের ৯০ ভাগ সম্পন্ন হয়।
- গভর্কালীন, প্রসবকালীন ঝুঁকি ও কম ওজনের শিশু জন্ম দানের সম্ভাবনা কমানোর ক্ষেত্রেও কিশোরীর পুষ্টি গুরুত্বপূর্ণ ।
কৈশোরকালীন খাদ্য বৈচিত্র্য
কৈশোরকালে খাবার এমন হতে হবে যেন সেই খাবার পরিমাণে সঠিক হয় এবং এতে খাদ্যের ৬টি উপাদানই থাকে:
- একই খাবার খেতে ভালো লাগবে না, তাই মাঝেমাঝে সুষম খাবারের অনুপাত ঠিক রেখে ভিন্ন ভিন্ন ধরণের খাবার খাওয়া যেতে পারে।
- রাস্তার খোলা খাবার, চানাচুর, আচার, চটপটি, চিপ্স, কেক, কোমল পানীয়, জুস, এনার্জি ড্রিংক ইত্যাদি খাবার খেতে ভালোই লাগে। কিন্তু এগুলোয় চর্বি ও শর্করার মাত্রা অনেক বেশি থাকে, যা পরবর্তীতে স্থুলতা, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই এসব না খেলেই ভালো।