slot gacor slot gacor terbaik slot gacor thailand slot gacor 2024
'; Blog Details

মাসিক বা ঋতুস্রাবের সময় করণীয়

মাসিক-সংক্রান্ত প্রচলিত ধারণা এবং চর্চা ছাড়াও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় অপর্যাপ্ততার কারণে এসময় কিশোরী মেয়েরা অনেক সমস্যা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখোমুখি হয়ে থাকে। এর জন্য পরিবার থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কমিউনিটিতে দরকার মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা।

 

মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বলতে বোঝায় নারী ও কিশোরীরা মাসিকের সময় রক্ত শুষে নেওয়ার জন্য পরিষ্কার উপকরণ ব্যবহার করবে, যতবার প্রয়োজন ততবারই সম্পূর্ণ গোপনীয়তার সঙ্গে পরিবর্তন করতে পারবে, সাবান ও পানি দিয়ে নিজে সম্পূর্ণ পরিষ্কার হতে পারবে এবং সেইসঙ্গে ব্যবহৃত উপকরণগুলোও যথাযথভাবে প্রক্রিয়াকরণ করতে পারবে। মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কেবল মাসিককালীন ব্যবস্থাপনাকেই বোঝায় না, এর সঙ্গে ক্ষতিকর সামাজিক রীতিনীতি, বিশ্বাস এবং বিধিনিষেধ অতিক্রম করাকেও বোঝায়।

 

মাসিকের সময় যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে

সঠিক স্যানিটারি উপকরণ বাছাই করা

এমন উপকরণ বাছাই করতে হবে যেন তা ব্যবহারে আরামদায়ক হয়, শোষণ ক্ষমতা বেশি থাকে এবং রক্ত লিক হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে, সুতি ও পরিস্কার কাপড় বাছাই ও ব্যবহার করা। অনেকেই মনে করে, নতুন কাপড় মানেই পরিস্কার কাপড়। এক্ষত্রে নতুন কাপড় ব্যবহারের পূর্বে ভালো করে ধুয়ে ব্যবহার করতে হবে।

 

স্যানিটারি উপকরণ যথাযথ নিয়মানুযায়ী ব্যবহার

স্যানিটারী ন্যাপকিন ব্যবহার সবচেয়ে নিরাপদ হলেও, যদি কেউ কাপড় ব্যবহার করতে চায় তাতে কোন সমস্যা নেই যদি তা যথাযথ নিয়মে ব্যবহৃত হয়। কাপড় ব্যবহার করলে অবশ্যই তা ভালোভাবে সাবান দিয়ে পরিস্কার করে ধুতে হবে এবং রোদে শুকাতে হবে। স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করলে ব্যবহারের পর ভালোভাবে কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। ন্যাপকিন বা কাপড় বদলানোর পর অবশ্যই সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। কাপড় বা প্যাড ঢিলা করে পড়লে রক্ত লিক হয়ে কাপড়ে দাগ লাগার সম্ভাবনা থাকে তাই স্যানিটারি উপকরণগুলো ব্যবহারের সময় যাতে ভালোভাবে ফিটিং হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

 

উপকরণের রক্ষণাবেক্ষণ

মাসিক শেষ হয়ে গেলে যদি সেই কাপড়গুলোকে পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য রেখে দিতে হয় তবে অবশ্যই শুষ্ক স্থানে রাখতে হবে যেন আলো-বাতাস চলাচল করতে পারে। স্যাতঁস্যাতে জায়গায় রাখলে তাতে ফাঙ্গাস দেখা দিতে পারে যা পরবর্তীতে ব্যবহার করলে চুলকানিসহ নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

 

পুষ্টি

মাসিক বা ঋতুস্রাবের সময় কিশোরীদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর ও সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে। পরিমাণ মত পানি (দিনে অন্তত ৮ গ্লাস) পান করতে হবে।

 

পরিস্কার- পরিচ্ছন্নতা

সময়মতো কাপড় বা স্যানিটারি প্যাড পরিবর্তন করা, সাধারণত ডাক্তারি মতে প্রতি ৪-৬ ঘন্টা পর পর বদলানো দরকার, তবে মাসিকের প্রম দুদিন যখন রক্ত প্রবাহের পরিমাণ বেশি থাকে তখন হয়তো আরো ঘন ঘন বদলাতে হতে পারে। আবার রক্ত প্রবাহের পরিমাণের উপরও এটি অনেক সময় নির্ভর করে। মনে রাখতে হবে যে, সময়মতো কাপড়/ স্যানিটারি প্যাড পরিবর্তন অনেক অযাচিত ঘটনা, যেমন- দূর্গন্ধ, রোগজীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়া ইত্যাদির হাত থেকে বাঁচায়। সম্ভব হলে এই সময় পরিচ্ছন্নতার কাজে গরম পানি ব্যবহার করা যেতে পারে। পরিধানের কাপড়ও পরিস্কার রাখা দরকার।

 

পরিবার ও স্কুলের সহযোগিতা

পরিবারের উচিত এই বিশেষ সময়ে স্কুলে যাওয়ার ব্যাপারে কিশোরীদের উৎসাহিত করা। পরিবারের মা বা বোন বা বয়োজ্যেষ্ঠ কোনো নারী সদস্য কিশোরীকে এ ব্যাপারে পরামর্শ দিতে পারেন। কখনো কখনো স্কুল চলাকালীন কোনো ছাত্রীর মাসিক শুরু হতে পারে। তাই প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জরুরি প্রয়োজনে স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহের ব্যবস্থা করা উচিত।

 

1
910
0 Comment

Comment

Your Opinion

Have you seen the blog? Share your opinion