https://www.pangkepkab.go.id/pages/ https://www.brauberg-rus.ru https://www.izotecmsk.ru https://www.laimashop.ru
Blog Details

বয়ঃসন্ধিকালে মানসিক পরিবর্তন

বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক পরিবর্তনের পাশাপাশি নানা ধরনের মানসিক পরিবর্তনও হয়। ফলে তাদের দৈনন্দিন আচরণে কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। এই পরিবর্তন স্বাভাবিক এবং সময়ের সাথে সাথে কিশোর-কিশোরীরা এইসব পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে চেষ্টা করে।

মানসিক পরিবর্তনের দিক থেকে ছেলে ও মেয়েতে কিছু অমিল থাকলেও মিলটাই বেশি থাকে। সাধারণত যেসব মানসিক পরিবর্তন দেখা যায় সেগুলো হলো:

  • শারীরিক পরিবর্তনের ফলে কিশোর-কিশোরীদের মনে নানা কৌতূহল, প্রশ্ন ও দ্বিধা-দ্বন্দ  দেখা দেয় এবং মানসিক চাঞ্চল্য তৈরি হয়।
  • প্রাকৃতিকভাবে দেহে তৈরি হওয়া হরমোনের প্রভাবে যৌনতা বিষয়ক আকাশ কুসুম চিন্তা করবার প্রবণতা দেখা দেয়।
  • বিপরীত লিঙ্গের মানুষের প্রতি সহজাত কৌতূহল/আকর্ষণ তৈরি হয়।
  • মন-মেজাজ ঘন ঘন পরিবর্তিত হয়ে থাকে। কখনো অল্পেই খুশি হয়, কখনো বা তুচ্ছ কারণেই দুঃখ পায়।
  • লজ্জা-সংকোচ ও জড়তা বাড়ে, প্রায়ই একাকিত্বে ভোগে; নিজের একটা আলাদা অস্তিত্ব অনুভব করে।
  • কারো-বা অনেক বন্ধুবান্ধব থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরশীল হবার চেষ্টা করে।
  • নানা ধরনের ভালো লাগা না লাগা বোধ হয় এবং স্নেহ, প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা প্রভৃতির আকাঙ্খা প্রকট হয়।
  • বড়দের আদেশ, নির্দেশ মানতে ভালো লাগেনা, স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে চায়।
  • নিজেদের শরীর, চেহারা, পোশাক আশাক আচার-আচরণ ইত্যাদি বিষয়ে সচেতন হয়।
  • নিজের পছন্দ অপছন্দের উপর জোর দিতে চায়, বন্ধুদের মতামতকেই প্রধান্য দেয়।
  • অস্বাভাবিক দুচিন্তা, অনিদ্রায় ভোগা প্রভৃতি লক্ষণগুলো দেখা দেয়।
  • আত্মমর্যাদা বোধ প্রকট হয়। নিজের প্রধান্য বিস্তার, আত্মতৃপ্তি ও স্বীকৃতির জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠে।
  • সবকিছুতেই সাহস ও বীরত্ব প্রদর্শন করতে চায়।
  • কোনো কিছু সৃষ্টি ও আবিষ্কারের মাধ্যমে প্রশংসা, দক্ষতা অর্জন ও মর্যাদা লাভের অনুভূতি তীব্র হয়।

 

মানসিক সুস্থতা কেন দরকার

মানসিক ভাবে সুস্থ থাকলে তা শরীর ও মনের পরিপূর্ণ বিকাশে সাহায্য করে। বৃদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ঘটায়। শরীর ভাল না থাকলে যেমন মন ভাল থাকেনা, তেমনি মন ভাল না থাকলে শরীর ও ভালো থাকে না। তাই পরিপুর্ন সুস্থতার জন্য এবং দেহ ও মনের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য মানসিক সুস্থতা বজায় রাখা জরুরী।

 

মানসিক সমস্যা প্রতিরোধে কী কী করা যেতে পারে-

  • মা-বাবা এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ বজায় রাখা ও এ সময়ের পরিবর্তন গুলোর ভাল মন্দ বুঝতে সহায়তা করা
  • পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকা (যেমন- ব্যায়াম করা, খেলাধুলা করা), ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি
  • ইতিবাচক আচরণের জন্য প্রশংসা করা এবং সামাজিক যোগাযোগ ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করা
  • সমবয়সী বন্ধুদের সাথে মেলা-মেশা এবং একসাথে লেখা-পড়া, খেলাধূলা এবং সামাজিক কাজে অংশ নেয়া
  • ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিসহ ব্যক্তিত্ব সৃষ্টিতে উৎসাহি করে তোলা
  • যেকোন অপরাধমূলক এবং অসামাজিক সমস্যা থেকে দূরে থাকার জন্য সচেতন করা
  • সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দেয়াসহ পরিপুর্ন মানসিক বিকাশের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করা

 

 

8
11514
10 Comment

Comment

Your Opinion

Have you seen the blog? Share your opinion

Comments:

Image
Somaiya akter kemi ৮ মাস আগে
করণী কি আমাদের

Image
Tamim hasan shihab ১০ মাস আগে
অসাধারণ যা বলার ভাষা নেই

Image
Tamim hasan shihab ১০ মাস আগে
অসাধারণ যা বলার ভাষা নেই

Image
MD Khalid Hasan ১১ মাস আগে
এই সমস্যা যে হয় এতে আমাদের কি করা প্রয়োজন

Image
William Tripura ১ বছর আগে
Very nice

Image
William Tripura ১ বছর আগে
Very good

Image
William Tripura ১ বছর আগে
Very good

Image
Lukman khan Ratul ১ বছর আগে
Exelent

Image
Adittaya Malaker Anuvob ১ বছর আগে
very good

Image
Saiba Islam ১ বছর আগে
Very good