সময়কে কাজে লাগানোর ৫টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস
সময়কে কাজে লাগানোর ৫টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস
ইশ্! আরেকটু সময় যদি পেতাম!" "এতো ব্যস্ত থাকি যে সময়ই বের করতে পারি না!" খুব পরিচিত মনে হচ্ছে না সংলাপগুলো? আসলে সময় এমন এক জিনিস যা চাইলেও অর্থ-কড়ির মতো সঞ্চয় করা যায় না, বিনিময় করা যায় না, ধার দেয়া যায় না বা নেয়াও যায় না। প্রত্যেকের জন্য স্রষ্টার পক্ষ থেকে সময় নির্দিষ্ট এবং যথাযথভাবে দেয়া আছে। কিন্তু আমরা নিজেরাই কখনো নিজের অজান্তে, কখনো বা হেয়ালিপনায় নষ্ট করে ফেলছি মূল্যবান সময়। যা পরবর্তীতে আফসোস আর অপ্রাপ্তির কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে ৫টি উপায় অনুসরণ করে আমরা কাজে লাগাতে পারি আমাদের মূল্যবান সময়কে। ১. অগ্রাধিকার ঠিক করুন - এক্ষেত্রে জমে থাকা কাজগুলোর মাঝে কোনগুলো জরুরি আর কোনগুলো গুরুত্বপূর্ণ তার তালিকা তৈরি করুন। গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আগে করতে চেষ্টা করুন। জরুরি কাজগুলো পরে করুন। দেখবেন গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর পাশাপাশি জরুরি কাজগুলোও হয়ে গেছে। আর যা আমরা জরুরি কাজ বলে মনে করি, অনেকসময় তা খুব একটা জরুরিও হয় না। বরং এই কাজগুলো করতে গিয়ে সময় নষ্ট করে আমরা গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আর করতে পারি না। ২. সংখ্যার ভিত্তিতে অগ্রাধিকার ঠিক করা- যে কাজগুলো করবেন বলে ঠিক করেছেন তার তালিকা তৈরি করুন। এরপর গুরুত্বের ভিত্তিতে নম্বর দিন। ১ হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর ১০ হচ্ছে সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ। এরপর একই কাজগুলোকে জরুরির ভিত্তিতে নম্বর দিন। এক্ষেত্রে ১ হচ্ছে সবচেয়ে জরুরি আর ৩ হচ্ছে অপেক্ষাকৃত কম জরুরি। এবার গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরির নম্বরগুলো পাশাপাশি গুণ করুন। সবচেয়ে কম নম্বরটিই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি কাজ। ৩. সুপারম্যানের ধারণা ত্যাগ করতে হবে- সুপারম্যানের মতো অনেক কিছু করতে চাওয়া আর বাস্তবে অনেক কিছু করার মাঝে পার্থক্য আছে৷ অনেক কিছু করতে পারার জন্য সময়ের প্রত্যেকটি মূহুর্তকে কাজে লাগাতে হবে। বড় বড় প্রাপ্তির জন্য যেমন, এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস পাওয়ার জন্য ছোট ছোট কাজ যেমন, গেমস খেলা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া, স্মার্টফোনে সময় দেয়া বা মুভি দেখা বিসর্জন দিতে হবে। ৪. সময়ের অপচয় রোধ করুন- আমরা নিজেদের অজান্তেই সময় নষ্ট করি যা বাঁচাতে পারলে দিনে কয়েক কর্মঘণ্টা যোগ করা সম্ভব। যেমন, কোনো কাজ শুরুর আগে মানসিক প্রস্তুতি হিসেবে চা-কফি খেয়ে নেয়া, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢুঁ মেরে আসা বা মেসেজ ইনবক্স চেক করতে গিয়ে সময় নষ্ট না করে সরাসরি কাজে বসে গেলে সময় বাঁচানো সম্ভব। ৫. দীর্ঘস্থায়ী লক্ষ্যের জন্য সময় বাঁচান- প্রতিদিনের জরুরি কাজ করতে গিয়ে দেখা যায় দূরপ্রসারী কাজের জন্য সময় পাওয়া যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন আধা বা এক ঘন্টা দূরপ্রসারী কাজের জন্য রাখলে দেখা যাবে পরবর্তীতে প্রতিদিনের এই সময়ের কাজটুকু বড় ধরণের তৃপ্তি দিচ্ছে৷